‘পামু আর খামু’ মানসিকতা দিয়ে দেশের কল্যাণ সম্ভব না
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৩-০১-২০২৫ ০৪:৩২:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৩-০১-২০২৫ ০৪:৩২:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী ও আদর্শিক রাজনৈতিক দল, তাই জনগণ জামায়াতের হাতে রাষ্ট্র ক্ষমতা তুলে দিলেই দেশ ও জাতি মুক্তি লাভ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে হাতিরঝিল থানা পশ্চিম জামায়াত আয়োজিত কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমির ইউসুফ আলী মোল্লার সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম রাশেদের পরিচালনায় শিক্ষা শিবিরে মহাগ্রন্থ আল কোরআন থেকে দারস পেশ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. মাওলানা মো. আব্দুস সামাদ।
বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক মো. হেমায়েত হোসেন, মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। বক্তব্য রাখেন থানা নায়েবে আমির মো. নূরুল ইসলাম আকন্দ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী-বাকশালী অপশাসন-দুঃশাসনে কক্ষচ্যুত বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরাতে দেশে সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। আগামীর নেতৃত্বকে অবশ্যই দেশপ্রেমী, মানবিক, জনহিতৈষী, নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, অবক্ষয় ও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। ‘পামু আর খামু’ এই ধরনের নেতিবাচক মানসিকতা দিয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ করা যাবে না। যারা আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তাদের ভাষা ইতিবাচক না হলে তাদেরও স্বৈরাচারের ভাগ্য বরণ করতে হবে।
তিনি দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী-ফ্যাসিবাদীরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছিল। তাই নতুন কমিশনকে সেই অশুভ বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে এসে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও ধরনের পক্ষপাতিত্ব মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি উপস্থিত কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশে একটি সফল বিপ্লবের জন্য জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। গণমানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালানো দরকার। একই সঙ্গে প্রতিটি ঘরে ঘরে দাওয়াত সম্প্রসারণের জন্য সকল পর্যায়ের জনশক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে যেকোনও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/ এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স